ভগবান বিষ্ণু হলেন পরমপুরুষ। পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়,পঞ্চ কার্মেন্দ্রিয়,পঞ্চ মহাভূত ও মন – এই ১৬টি অংশে রচিত পুরুষ মূর্তি হলেন ভগবান বিষ্ণু। তিনি মহাসমুদ্রে সর্বদা যোগ-নিদ্রায় শায়িত থাকেন। এই মহাবিশ্বের তিনি পরিচালক, সমস্ত কিছু তাহার নির্দেশ চলে। তিনি ভক্তবাঞ্ছা কল্পতরু, তিনি সর্বদা ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন আমাকে যদি কেউ এক মনে অন্তর দিয়ে ডাকে এবং আমার উপর নির্ভরশীল হয় তাহলে তিনি তাকে দয়া প্রদান করেন। যে সকল ভক্ত আমার ভজন কীর্তন করতে করতে কর্ম করে, তার কর্ম সফত্মাল করি ও তাকে আমি রক্ষা করি। তিনি আরও বলেন – আমার পূজার জন্য মূল্যবান উপকরণের দরকার নেই। আমি ভক্তির কাঙাল, ভাবের ভিখারী, আমি গভীর ভালোবাসাতে ধরা দিই। ভক্তি আর ভালোবাসাতে চাই কান্না, অশ্রুজল, রাত্রি জাগরণ, চাই বিরহ, যে ভালোবাসার চোখের জল পড়ে না সে কিসের ভালোবাসা, যে প্রেমে রাত্রি জাগরণ হয় না সে কিসের প্রেম, যে ভক্তিতে বিরহ যন্ত্রণা নেই, সে তবে কিসের ভক্তি। এই ভক্তি ভালোবাসা আসবে কি ভাবে।হরিকথা শ্রবণে, হরিকথা শ্রবণে মানুষের রজ ও তম গুন দূর হয়। কাম – ক্রোধ – লোভ – মোহ – মদ ও মাৎসর্য পালায় মনের মধ্যে আসে সত্ত্বগুন আসে, মানুষ তখন তত্ত্বজ্ঞান লাভ করে, পায় আত্মায় দর্শন। দূর হয় আমিত্ব দূর হয় মনের সংশয়, দর্শন হয় শ্রীহরির।